ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের বিগত ১০(দশ) বছরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বিবরণ
সমাপ্ত উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসমূহঃ
১) প্রকল্পের নাম : জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ (এন৩)
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ৮৭.১৫ কিলোমিটার (ময়মনসিংহ অংশ: ৫৬.৯০ কি.মি.)
প্রকল্পের সুফল : প্রকল্পটির কাজ জুন, ২০১৬ সালে সমাপ্ত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২ জুলাই ২০১৬ সালে ৪-লেনে উন্নীত জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক শুভ উদ্বোধন করেন। প্রকল্প সড়কটি বর্তমান ট্রাফিক বিবেচনায় যথেষ্ঠ প্রশস্ত থাকায় গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারছে এবং একমুখি যান চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার হার অনেকাংশ হ্রাস পেয়েছে।
২) প্রকল্পের নাম : ময়মনসিংহ শহর বাইপাস সড়ক
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ১৩.৩০ কিলোমিটার
প্রকল্পের সুফল : প্রকল্পটির কাজ জুন, ২০১৪ সালে সমাপ্ত হয়। প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির ফলে ঢাকার সাথে জামালপুর জেলা এবং ময়মনসিংহ ও টাঙ্গইল জেলা অংশ বিশেষসহ সমগ্র উত্তর বঙ্গের ময়মনসিংহ শহরের যানজট এরিয়ে সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। প্রকল্প সড়কটি বর্তমান ট্রাফিক বিবেচনায় যথেষ্ঠ প্রশস্ত থাকায় নির্বিঘ্নে যান চলাচল করতে পারছে এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৩) প্রকল্পের নাম : ত্রিশাল-নান্দাইল-তাড়াইল মহাসড়কের ১৩তম কি.মি.এ বালিপাড়া সেতু নির্মাণ
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ৪৭৭.০০ মিটার
প্রকল্পের সুফল : প্রকল্পটির কাজ জুন, ২০১৫ সালে সমাপ্ত হয়। প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির ফলে ঢাকার সাথে সমগ্র কিশোরগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, গৌরিপুর উপজেলা ও নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া, মদন, আটপাড়া ও খালিয়াজুরি উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখিত এলাকা সমূহে ময়মনসিংহ শহরের ট্রাফিকজাম এরিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারছে।
৪) প্রকল্পের নাম : হালুয়াঘাট-মুন্সিরহাট-ধোবউড়া সড়ক উন্নয়ন
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ১৯.৯৩ কিলোমিটার
প্রকল্পের সুফল : উক্ত সড়কের মাধ্যমে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার মধ্যে সড়কপথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এর ফলে ধোবাউড়ার মানুষ সহজেই হালুয়াঘাট হয়ে মযমনসিংহ, শেরপুরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে।
৫) প্রকল্পের নাম : ময়মনসিংহ-ফুলবাড়ীয়া সড়কে ভালুকজান সেতু ও দাপুনিয়া কালভার্ট নির্মাণ
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ৩৯.০০ মিটার সেতু ও ২০ মিটার কালভার্ট
প্রকল্পের সুফল : দাপুনিয়া কালভার্টের মাধ্যমে ময়মনসিংহ সদর ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজীকরণ হয়েছে। ভালুকা সেতুর মাধ্যমে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে যোগাযোগ সহজীকরণ হয়েছে।
৬) প্রকল্পের নাম : ময়মনসিংহ-ফুলপুর-নকলা-শেরপুর সড়ক (ময়মনসিংহ অংশ) প্রশস্তকরণ
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ৩৫.০০ কি.মি.
প্রকল্পের সুফল : উক্ত প্রশস্তকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হবে। এর ফলে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের কার্যক্রমের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে।
৭) প্রকল্পের নাম : পাটগুদাম ইন্টারসেকশন নির্মাণ
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ১টি
প্রকল্পের সুফল : পাটগুদাম ইন্টারসেকশন নির্মাণের মাধ্যমে যানজট নিরসনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ঢাকার সাথে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হয়েছে।
৮) প্রকল্পের নাম : ময়মনসিংহ-রঘুরামপুর সড়ক, রঘুরামপুর ইন্টারসেকশনসহ
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : ৩.00 কি.মি.
প্রকল্পের উদ্দেশ্য : ইন্টারসেকশনের উন্নতিকরণে রঘুরামপুর মাধ্যমে ময়মনসিংহ সদরের সাথে নেত্রকোনা জেলা সদর ও শেরপুর জেলার মধ্যে যানজট নিরসনসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণ হয়েছে।
9) প্রকল্পের নাম : ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কের 72তম কি:মি: এ বানার সেতু নির্মাণ।
প্রকল্পের দৈর্ঘ্য : 282.558 মি:
প্রকল্পের উদ্দেশ্য : বানার সেতুর মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা ও গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সংযোগ স্থাপিত হবে। এর গফরগাঁও উপজেলার মানুষের কম সময়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত সম্ভব হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস